বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন। সঙ্গে ছিলেন দলের যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি ও আইনবিষয়ক সম্পাদক কায়সার কামাল।
আইজিপিকে লেখা ওই চিঠিতে বলা হয়, সম্প্রতি গণতন্ত্রকামী রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে পুলিশের গায়েবি মিথ্যা মামলা দায়ের এবং মানবাধিকার লঙ্ঘন চরমতম পর্যায়ে পৌঁছেছে।
গত ১ নভেম্বর একটি জাতীয় পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনের কথা উল্লেখ করে চিঠিতে বলা হয়, প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, ঢাকার প্রতিটি ওয়ার্ডের বিএনপি ও সব অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের বিস্তারিত তথ্যসহ তালিকা প্রস্তুত করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ। তাছাড়া বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, সারা দেশের জেলা-উপজেলা এমনকি ইউনিয়ন লেভেল পর্যন্ত নেতাকর্মীদের তালিকা প্রস্তুত করছে পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চ। কতিপয় অতি উৎসাহী পুলিশ কর্মকর্তার বেআইনি কর্মকাণ্ডের জন্য গোটা পুলিশ বাহিনীর ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হচ্ছে যা প্রত্যাশিত নয়।
গত আগস্ট থেকে ২৬ নভেম্বর পর্যন্ত গায়েবি ও মিথ্যা মামলা হয়েছে ১৬৯টি। সেখানে নাম ধরে আসামি করা হয়েছে ৬ হাজার ৭২৩ জনকে। বেনামে আসামি করা হয়েছে ১৫ হাজার ৫০ জনকে, চিঠিতে বলেন ফখরুল।
কয়েকটি পত্রিকায় গায়েবি মামলাসংক্রান্ত প্রতিবেদন তুলে ধরে বলা হয়, এসব খবরের মূল প্রতিপাদ্য হলো, চলতি মাসেই পুলিশ বাহিনী যে গায়েবি মামলা করেছে, সেসব মামলার সব আসামি বিএনপির নেতাকর্মী, একই ঘটনায় দুই থানায় আলাদা মামলা হয়েছে, বাদী নিজেই জানেন না আসামির সংখ্যা কত, সাক্ষীও বিস্ফোরণ শুনেননি এবং ঘটনাস্থলের বাসিন্দারা কিছুই জানেন না। মামলার বাদী পুলিশ কিংবা আওয়ামী লীগ বা এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মী এবং অধিকাংশ মামলার অভিযোগ হুবহু এক।
আইজিপির উদ্দেশে লেখা ওই চিঠিতে বলা হয়, পুরো পুলিশ বাহিনীর প্রিন্সিপ্যাল কমান্ডিং অফিসার হিসেবে আমরা প্রত্যাশা করি যে, আপনি অবিলম্বে সারা দেশে সব প্রকার গায়েবি, মিথ্যা ও হয়রানিমূলক রাজনৈতিক মামলা বিশেষ করে রাজনৈতিক ভিন্নমতাবলম্বীদের দমন-পীড়ন বন্ধে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেবেন এবং এসব বন্ধে প্রয়াজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। একই সঙ্গে সাম্প্রতিক এ ধরনের যে সব মামলা করা হয়েছে সে মামলাগুলোর বিষয়ে বিশেষ তদন্তের ব্যবস্থা করে দোষী দায়িত্বপ্রাপ্ত/কর্মকর্তা/সদস্যদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য আপনাকে আন্তরিক অনুরোধ জানাচ্ছি।
আইজিপিকে চিঠি দিয়ে বেরিয়ে এসে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু সাংবাদিকদের বলেন, বিএনপির সমাবেশ ঘিরে সারা দেশে গায়েবি মামলা ও গ্রেফতারের বিষয়গুলো পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনকে জানানো হয়েছে। বিষয়গুলো খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন আইজিপি।