শরীয়তপুর প্রতিনিধি:শরীয়তপুরের গোসাইরহাটে কবর খুঁড়ে তিন বছরের শিশুর লাশ তুলে একসঙ্গে রাত কাটিয়েছে রাজন ফকির নামে এক কিশোর।বুধবার রাতে উপজেলার নাগেরপারা ইউনিয়নের পশ্চিম কাচনা গ্ৰামে এ ঘটনা ঘটে। রাজন মানসিক ভারসাম্যহীন বলে দাবি পরিবারের।
নিহতের বাবা জানান, বুধবার দুপুরে পুকুরে ডুবে মারা যায় তার ছেলে নাঈম। সন্ধ্যায় পশ্চিম বড় কাচনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পেছনে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। কিন্তু বৃহস্পতিবার সকালে কবরে পাওয়া যায়রি নাঈমের লাশ। খোঁজাখুঁজির পর লাশটি ফুফাতো ভাই মোকলেস ফকিরের ঘরে পাওয়া যায়। এ সময় শিশুটির পরনে ট্রাউজার ও শার্ট পরানো ছিল। এরপর শিশুটিকে ফের দাফন করা হয়।
শিশুটির দাদা সাঈদুল মাদবর বলেন, কবর খুঁড়ে লাশ তুলে এনে জামা-কাপড় পরিয়ে একসঙ্গে রাতে ঘুমিয়েছে রাজন। শিশুটি কবরে একা একা কীভাবে থাকবে, তাই সে কবর থেকে তুলে নিয়ে এসেছে। দাফনের সময় সবাই নাঈমকে দেখেছে। কিন্তু রাজন দেখতে পারেনি বলেই তুলে নিয়ে এসেছে। ঘটনার পর জিজ্ঞাসাবাদে লাশ তুলে আনার কথা স্বীকার করে এসব জানিয়েছে রাজন।
প্রতিবেশী তোফায়েল মাস্টার বলেন, কবরে লাশ না থাকার বিষয় সকালে জানাজানি হলে খোঁজাখুঁজি শুরু হয়। রাজনের কথাবার্তায় সন্দেহ হয়। পরে জিজ্ঞাসাবাদে লাশ তোলার বিষয়টি স্বীকার করে ছেলেটি। পরে তার এক ভাইয়ের ঘরে শিশুটির লাশ পাওয়া যায়। ওই ভাই ঢাকায় থাকেন। ঘরটি খালি রয়েছে।তিনি বলেন, খাটের ওপর রেফ্রিজারেটরের কার্টন বিছিয়ে শিশুটিকে ট্রাউজার ও শার্ট পরিয়ে শুইয়ে রাখা হয়েছে। একটি সাদা কাপড় দিয়ে ঢেকে রেখেছে। রাতে একসঙ্গে ঘুমিয়েছিল বলেও জানিয়েছিল রাজন।