শীতের বিদায় বেলায় আলস্য কাটিয়ে বাঙালি হলমুখী। কারণ, শাহরুখ খান। সকাল ৬টা থেকে সিনেমা হলের বাইরে ভিড়। সিঙ্গল স্ক্রিন থেকে মাল্টিপ্লেক্স সর্বত্র চিত্র একই। প্রথম দিন প্রথম শো না হলেও মুক্তির দিনই দেখতে হবে ‘পাঠান’।
চার বছর পর বড় পর্দায় শাহরুখকে যেনো মিস করাই যাবে না। বাদশার সমর্থনে বেরিয়েছে মিছিলও। ভক্তদের স্লোগান, ‘হিন্দুস্তান কি শান, শাহরুখ খান।’ সাধারণ দর্শক তো রয়েছেন টলিপাড়ার তারকারাও কাবু ‘পাঠান’ জ্বরে। কেউ দেখছেন ফার্স্ট শো, কারও একবারে মিটছে না আশ। ‘পাঠান’ নিয়ে উত্তেজিত রাহুল অরুণোদয় বন্দ্যোপাধ্যায়, নীল ভট্টাচার্য, স্বস্তিকা।
রাহুল অরুণোদয় বন্দ্যোপাধ্যায় টলিপাড়ায় বুদ্ধিদীপ্ত অভিনেতা বলেই পরিচিত। কিন্তু শাহরুখের অনুরাগী বলেই নিজেকে পরিচয় দিতেও সঙ্কোচ নেই তার। প্রিয় তারকার ছবি, তাও আবার চার বছর পর। তাই ছবি দেখতে সকাল ১০টার শোতে পৌঁছে যান রাহুল। তিনি বলেন, ‘মন ভরল না, আবার দেখতে হবে ছবিটা। প্রতিটা মুহূর্তে একই রকম উত্তেজনা অনুভব করছিলাম। একেবারে পয়সা উসুল করার মতো ছবি। বস ইজ ব্যাক!’
এখনও ‘পাঠান’ দেখে উঠতে পারেননি স্বস্তিকা। শাহরুখকে দেখার উন্মাদনা তো রয়েছে, তেমনই স্বস্তিকার গোপন ব্যথা রয়েছে জন আব্রাহামের প্রতি। স্বস্তিকার কথায়, ‘জনের প্রতি ভীষণ রকম একটা ব্যথা রয়েছে। ‘পাঠান’-এর গান বড় পর্দায় দেখার বিশেষ ইচ্ছে রয়েছে।’ কালকের মধ্যে ছবি দেখে ফেলার ইচ্ছে রয়েছে এই অভিনেত্রীর
চার বছরের প্রতীক্ষার অবসান। ২০২৩- এর শুরুটা ‘পাঠান’ দিয়ে। ভক্তদের দরবারে বড় পর্দায় হাজির হচ্ছেন তাদের মসিহা। স্বাভাবিকভাবে উন্মাদনা যে তুঙ্গে থাকবে তা আর বলার নেই।