কুষ্টিয়ায় এবার একটি পরিত্যক্ত পুকুরপাড় থেকে জীবিত নবজাতক উদ্ধার হয়েছে। মঙ্গলবার (৪ অক্টোবর) বিকেলে সদর উপজেলার আলামপুর ইউনিয়নের দহকুলা গ্রামের তেকনাপাড়া এলাকার ওই পুকুরপাড় থেকে নবজাতকটি উদ্ধার করা হয়। তবে তার বাবা-মার সন্ধান পাওয়া যায়নি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দহকুলা গ্রামের তেকনাপাড়া এলাকার সিরাজুল ইসলামের বসতবাড়ির একটি পরিত্যক্ত পুকুরপাড়ে ওই নবজাতকের কান্না শুনে স্থানীয়রা বিষয়টি টের পান। একদিন বয়সী ওই নবজাতককে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালের নার্সরা তার সেবা দিচ্ছেন।
কুষ্টিয়া সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাধন কুমার বিশ্বাস জাগো নিউজকে বলেন, বর্তমানে ওই নবজাতককে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে ভর্তি রাখা হয়েছে। তার অবস্থা এখন বেশ ভালো আছে। আমরা সার্বক্ষণিক খোঁজ রাখছি।
কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত (ওসি) দেলোয়ার হোসেন খান জাগো নিউজকে বলেন, কে বা কারা লোক চক্ষুর অন্তরালে ওই নবজাতককে পুকুরপাড়ের ঝোপে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। তার প্রকৃত বাবা-মাকে শনাক্তের চেষ্টা চলছে। পরবর্তীতে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
কুষ্টিয়া সমাজসেবা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মুহাম্মদ মুরাদ হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, শিশুটির জন্য দুধ কিনে দেওয়া হয়েছে। তার পোশাক থেকে শুরু করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের চাহিদা মাফিক সবকিছু সরবরাহ করা হচ্ছে। তার চিকিৎসায় কোনো ত্রুটি রাখা হচ্ছে না।
হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ইকবাল হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, এক দিনের নবজাতক মনে হচ্ছে। শিশুটির শারীরিক অবস্থা বেশ ভালো। তারপরও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। কয়েক দিন তাকে পর্যবেক্ষণে রাখা হবে।
কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম বলেন, শিশুটির সব রকম চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে সার্বিক নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। শিশুটির বিষয়ে সার্বক্ষণিক খোঁজ-খবর নেওয়া হচ্ছে।
এর আগে গত ৭ সেপ্টেম্বর সকালে এক নারী কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নরমাল ডেলিভারির মাধ্যমে একটি ছেলে শিশু জন্ম দিয়ে তাকে ফেলে রেখে পালিয়ে যান। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ প্রায় এক সপ্তাহের বেশি সেখানে রেখে শিশুটিকে চিকিৎসা সেবা দেয়। পরে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সিলেট বিভাগে কর্মরত নিঃসন্তান এক জন এসিল্যান্ডের (ম্যাজিস্ট্রেট) হাতে শিশুটির দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয়।
মন্তব্য করুন