ইসলামী খিলাফতের প্রথম দিকের দিনারগুলো অনেকটা বাইজেন্টাইন ব্রোঞ্জের মুদ্রার মতোই ছিল। আলেকজান্দ্রিয়ার টাকশালে তৈরি করা এসব মুদ্রায় রোমান শাসক হেরাক্লিয়াস ও তাঁর দুই পুত্রের ছাপ থাকত।
আরব উপদ্বীপ ছাড়াও বিভিন্ন অঞ্চলের মুদ্রাও আছে।
বিশেষজ্ঞের মতে, সৌদি আরবে সংরক্ষিত পাবলিক লাইব্রেরির মুদ্রাগুলো বর্তমান সময়ের সবচেয়ে সমৃদ্ধ সংগ্রহ। এখানে উমাইয়া, আব্বাসি, ফাতিমি, আইউবি, উজবেক, সেলজুক ও মামলুক যুগের বিরল মুদ্রা রয়েছে। অটোমান যুগ পর্যন্ত এসব মুদ্রা বিভিন্ন মুসলিম অধ্যুষিত অঞ্চলে পাওয়া যেত। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, এই লাইব্রেরির সংগ্রহে প্রথম আরব-ইসলামী দিনার রয়েছে, যা নিজস্ব টাকশালে তৈরি করা হয়েছিল।
>কারণ ইসলামী খিলাফতের প্রথম যুগে ব্যবহৃত মুদ্রাগুলো অমুসলিম দেশ থেকে তৈরি করে আনা হতো।
ইসলামী যুগের মুদ্রাগুলোতে কালেমা শাহাদার শিলালিপি খোদাই করা রয়েছে। মুদ্রার উল্টোদিকে আরবের ঐতিহ্যবাহী পোশাক পরা বাইজেন্টাইন সম্রাট ও তার দুই ছেলসহ তিন ব্যক্তির একটি ছবি রয়েছে। মুদ্রার পোশাকটি বাইজেন্টাইন দিনারে প্রদর্শিত বাইজেন্টাইন পোশাক থেকে অনেকটা ভিন্ন। এর ওজন ৩.১ গ্রাম, যার ব্যাস ১৮.৩ মিলিমিটার।
লাইব্রেরির বেশির ভাগ ইসলামী মুদ্রা বিশ্বের অন্য কোথাও পাওয়া যায় না। লাইব্রেরির সংগ্রহে রয়েছে ৬৯৫ সালে দামেস্কে খোদাই করা একটি সাসানিয়ান আরব দিরহাম এবং খলিফা আবু জাফর আল-মনসুরের শাসনামলে ৭৫৮ সালে বসরায় তৈরি করা আব্বাসীয় দিরহাম। আরবিতে ‘আবদ’ বা দাস শব্দটি আব্বাসীয় যুগের দিরহাম মুদ্রার উল্টোদিকে লেখার নিচে খোদাই করা রয়েছে। ফলে অন্যান্য মুদ্রা ও খলিফা আল-মনসুরের শাসনামলে খোদাই করা মুদ্রার মধ্যে কিছুটা পার্থক্য লক্ষ করা যায়।
সূত্র : আরব নিউজ