নিজস্ব প্রতিনিধি : কুষ্টিয়ার গোস্বামী দুর্গাপুরে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে রেবেকা খাতুন (৩০) নামে আট মাসের অন্তস্বত্ত্বা এক নারীকে পেটে-পিঠে লাথি মেরে আহত করার অভিযোগ উঠেছে আওয়ামী লীগ নেতার ভাইয়ের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত মানিক গোস্বামী দুর্গাপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সিরাজুল হকের চাচাতো ভাই। মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে সদর উপজেলার গোস্বামী দুর্গাপুর বাজারে এই ঘটনা ঘটে।
আহত ঐ নারী একই এলাকার চা দোকানী মানিক রতনের স্ত্রী। ভুক্তভোগী ওই নারীর স্বামী মানিক রতন বলেন, ঘটনার দিন রাতে বাজারে পল্লী চিকিৎসক শহিদুলের কাছে তার স্ত্রী রেবেকা খাতুনকে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসেন।এসময় তার এক আত্মীয়র সাথে দেখা হলে আলাপ চারিতায় লিপ্ত হন মানিক রতন।কোন কিছু বুঝে না ওঠার আগেই চাদার টাকা নিয়ে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে সন্ত্রাসী মানিক তার উপর চড়াও হয়।
এসময় তার আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী রেবেকা ছুটে এলে তাকে এলোপাতাড়ি কিল ঘুষি ও পেটে লাথি মেরে রাস্তায় ফেলে দেয় সন্ত্রাসী মানিক। এতে সে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে ঐ নারী তার অনাগত সন্তানের অবস্থা আশংকা জনক। স্থানীয় ইউপি সদস্য শাহাজুল ইসলাম বলেন, চা দোকানী মানিক রতন ও তার আট মাসের অন্তসত্তা স্ত্রীসহ শশুর কে মারধর করেছে বলে শুনেছি। অন্তসত্তা রেবেকা বলেন,দূর্গাপুর বাজারে আমার স্বামীর একটা চায়ের দোকান আছে যেখানে কেরাম বোর্ড ও একটা টিভি চলে।
ঐ দোকান চালাতে হলে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সিরাজুলকে দশ হাজার টাকা দিতে হবে বলে গত ৮-৯ মাস ধরে চাপ দিয়ে আসছিল ঐ সভাপতি। আমার স্বামী পাঁচশ টাকাও দিয়েছে তাকে।কিন্তু এতে মন গলেনি তাদের। সভাপতি সিরাজুল ও তার চাচাতো ভাই রতন প্রায়শই নানান ভয়ভীতি দেখাতো আমার স্বামীকে। মঙ্গলবার রাতে আমার স্বামীকে একা পেয়ে রতন তার সহযোগীরা মারধর করতে থাকে। ঠেকাতে এলে আমাকে পেটে-পিঠে লাথি মেরে রাস্তায় ফেলে দেয়। এ সময় আমার বাবা ফেরাতে আসলে তাকেও মারধর করে।আমি এর সুষ্ঠ বিচার চাই। এবিষয়ে জানতে চাইলে, অভিযুক্ত রতনের কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।