জনতাই পুলিশ, পুলিশই জনতা: আইজিপি
কমিউনিটি পুলিশিংয়ের কারণে জনগণ ও পুলিশের মধ্যে দূরত্ব ঘুচতে শুরু করেছে উল্লেখ করে বাহিনীর মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেছেন, এখন জনতাই পুলিশ, পুলিশই জনতা।
রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ মিলনায়তনে শনিবার দুপুরে কমিউনিটি পুলিশিং ডে উপলক্ষে আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। কমিউনিটি পুলিশিং নিয়ে আইজিপি বলেন, ‘বাংলাদেশে কমিউনিটি পুলিশের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এখন পুলিশই জনতা, জনতাই পুলিশ। ’ তিনি বলেন, ‘এখন প্রতি মাসে সারা দেশে প্রতি থানায় ওপেন হাউস ডে পালন করা হয়, যেখানে সাধারণ মানুষ পুলিশ অফিসারদের সঙ্গে সরাসরি কথা বলেন, তাদের সমস্যা তুলে ধরেন।
‘এতে করে সাধারণ মানুষ থানাগুলো থেকে কেমন সেবা পাচ্ছে, ওই এলাকায় কী ধরনের অপরাধ বেশি ঘটছে, কিসের জন্য এমনটি ঘটছে, সাধারণ মানুষের পরামর্শ নিয়ে পুলিশ সে বিষয়ে ব্যবস্থা নিচ্ছে।’
২০১৩ সালে পুলিশ সদর দপ্তরের উপমহাপরিদর্শকের (ডিআইজি-অপারেশনস) অধীনে আলাদা শাখা হিসেবে স্বল্প পরিসরে কমিউনিটি পুলিশিং কার্যক্রম শুরু হয়।
পরের বছর একজন সহকারী মহাপরিদর্শকের (এআইজি) তত্ত্বাবধানে পাবলিক সেফটি অ্যান্ড প্রিভেনশন (পিএসঅ্যান্ডসিপি) শাখার কার্যক্রম শুরু হয়। এটিই এখন কমিউনিটি অ্যান্ড বিট পুলিশিং নামে চলছে।
আইজিপি জানান, বর্তমানে পুলিশের সব জেলা, রেলওয়ে, হাইওয়ে, ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ ও মেট্রোপলিটন ইউনিটে কমিউনিটি পুলিশিংয়ের কার্যক্রম বাস্তবায়নের চেষ্টা চলছে। এর অংশ হিসেবে দেশজুড়ে ৫৪ হাজার ৭১৮টি কমিটিতে ৯ লাখ ৪৭ হাজার ৭০১ জন কমিউনিটি পুলিশিং সদস্য কাজ করছেন।
পুলিশপ্রধান মনে করেন, কমিউনিটি পুলিশ, বিট পুলিশিংসহ বিভিন্ন কার্যক্রমে বাংলাদেশ পুলিশ এখন জনগণের কাছাকাছি চলে গেছে। এতে করে জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদ দমন সহজ হয়ে গেছে।
সন্ত্রাসবাদ দমনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তৎপরতা তুলে ধরে পুলিশপ্রধান বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন প্রথম ক্ষমতা গ্রহণ করেন, তখন আপনারা দেখেছেন পাহাড়ি এলাকায় কী অবস্থা ছিল। সেখানে সন্ত্রাসী কার্যক্রম চলত।
‘এ সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সমন্বয়ে আভিযানিক অপারেশনের পাশাপাশি তাদের আত্মসমর্পণ করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার সুযোগও দিয়েছি। এরপর থেকেই পাহাড়ি এলাকায় শান্তির সুবাতাস বইছে।’
আইজিপি আরও বলেন, ‘এই সরকারের সময় যেভাবে সন্ত্রাসী কার্যক্রমকে দমন করা হয়েছে বা নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে, তা বিশ্বব্যাপী আজ প্রশংসিত।
‘আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, কমিউনিটি পুলিশের সদস্যদের সমন্বয়ে আমরা সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ সফলভাবে দমন করেছি।’