শিশুকন্যাকে ‘ডিজিটাল ধর্ষণ’! ৬৫ বছরের এক প্রৌঢ়ের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিল নয়ডার একটি দায়রা আদালত। অতিরিক্ত জেলা বিচারক অনিলকুমার সিংহ দোষীর ৫০ হাজার টাকা জরিমানাও করেছেন। ওই প্রৌঢ় নয়ডাতে থাকলেও, সে আদতে পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা। ২০১৯ সালের ২১ জানুয়ারি ওই নাবালিকাকে ‘ডিজিটাল ধর্ষণ’ করে ওই প্রৌঢ়। তার পরই থানায় অভিযোগ দায়ের হয়।
ডিজিটাল ধর্ষণের অর্থ কিন্তু ইন্টারেন্টের মাধ্যমে যৌন উৎপীড়ন নয় ৷ ডিজিটাল শব্দের উৎস ‘ডিজিটস’ ৷ নির্ভয়া কাণ্ডের পর দেশের আইনকানুনে অনেক পরিবর্তন হয়েছে ৷ এর পরই ‘ডিজিটাল রেপ’-এর মতো বিষয় নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে ৷ যৌনতার উদ্দেশ্যে জোর করে কোনও মানুষের যোনি, পায়ু, কান বা নাকে হাত বা পায়ের আঙুল প্রবেশ করানোকেই বলা হচ্ছে ডিজিটাল ধর্ষণ।
ওই প্রৌঢ় ২০১৯ সালে নয়ডার সেক্টর ২৯-এর সালারপুর গ্রামে মেয়ের শ্বশুরবাড়িতে ঘুরতে গিয়েছিল। সেই সময় লজেন্সের লোভ দেখিয়ে শিশুটিকে ফাঁকা বাড়িতে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে সে। শিশুটির মা-বাবা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। পকসো আইন এবং ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৫ এবং ৩৭৬ নম্বর ধারায় মামলা দায়ের হয়। গ্রেফতার করা হয় প্রৌঢ়কে।