বয়সের তুলনায় কিছু মানুষকে অল্পবয়স্ক দেখায়, কিন্তু কেন!
বয়সের সঙ্গে সঙ্গে চেহারায় তার ছাপ পড়ে। কিন্তু মুখে বলিরেখার অস্তিত্ব, চুলে পাক ধরা অনেকেরই মন খারাপের কারণ হতে পারে। বয়স বেড়ে যাচ্ছে- এই অনুভূতি আরও বেশি প্রকট হয় যখন তার ছাপ চেহারায় স্পষ্ট হতে শুরু করে। কাউকে বয়সের তুলনায় দেখতে আরও বয়স্ক লাগে, কাউকে বয়সের তুলনায় দেখতে কম বয়সী লাগে। বয়স বোঝা না গেলে তাদের দেখে অনেকে অবাক হন, কীভাবে বয়স ধরে রাখা সম্ভব!
যাদের দেখে বয়স বুঝতে পারা যায় না, খোঁজ নিয়ে দেখুন তারা স্বাস্থ্যের প্রতি বেশ সচেতন। তারা কিছু নিয়ম মেনে চলে নিয়মিত। বয়সের তুলনায় আপনাকে আরও বেশি বয়স্ক লাগলে বুঝবেন এজন্য আপনারও কিছু অবহেলা দায়ী। নিজের শারীরিক ও মানসিক যত্ন নিতে হবে নিয়মিত। জীবনযাপন হতে হবে নিয়ন্ত্রিত। তিনটি কাজ আপনাকে বয়স থামিয়ে রাখতে সাহায্য করবে। চলুন জেনে নেয়া যাক-প্রতিদিন পর্যাপ্ত পানি পান
সব ধরনের খাবার খেলেন কিন্তু পানি পানের ক্ষেত্রে করলেন অবহেলা, এমনটা হলে কিন্তু আপনার সুস্থ ও সুন্দর থাকা সম্ভব নয়। কারণ আমাদের সুস্থতার জন্য প্রতিদিন পর্যাপ্ত পানি পান করা ভীষণ জরুরি। শারীরিক যেকোনো সমস্যা দূরে রাখতে অনেকটা সাহায্য করে বিশুদ্ধ পানি। শরীরে পানির ঘাটতি দেখা দিলে তা অভ্যন্তরীণ সব কাজে বিঘ্ন সৃষ্টি করতে পারে। প্রতিদিন পর্যাপ্ত পানি পান করলে তা শরীরে পানির ঘাটতি মেটানোর পাশাপাশি শরীরে জমে থাকা বিষাক্ত উপাদান বা টক্সিন দূর করতে সাহায্য করে। শরীর আর্দ্র থাকলে সুস্থ থাকা সহজ হয়। ত্বক আর্দ্র থাকলে টানটান ভাব বজায় থাকে। এই এই টানটান ভাব কমলেই দেখা দেয় বলিরেখা। তাই বয়স ধরে রাখতে চাইলে নিয়মিত পানি পান করতে হবে।
নিশ্চিন্ত নির্বিঘ্ন ঘুম
শুধু কাজ করে গেলেই হবে না, প্রয়োজন পর্যাপ্ত বিশ্রামেরও। শরীর সুস্থ রাখার জন্য প্রতিদিন নির্বিঘ্ন ঘুম প্রয়োজন। একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের জন্য প্রতিদিন অন্তত সাত-আট ঘণ্টা ঘুম দরকারি। ঘুমের অন্তত ঘণ্টা দুই আগে স্মার্টফোন দূরে রাখুন। কম্পিউটার কিংবা স্মার্টফোনের নীলচে আলো আমাদের ত্বকের জন্য ক্ষতিকর। এটি ত্বকে দ্রুত বয়সের ছাপ ফেলতে পারে। অনেকে বালিশের উপর মুখ উপুড় করে ঘুমান। এতেও দেখা দিতে পারে বলিরেখা। তাই এই ভঙ্গীতে ঘুমানোর অভ্যাস থাকলে তা বাদ দিন।
নিয়মিত শরীরচর্চা করতে হবে
ফিটনেস বার্ধক্যজনিত প্রভাবগুলি রোধে একটি প্রধান মাধ্যম। পাশাপাশি ব্যায়াম থেকে আপনি অনেক উপকার পেতে পারেন। যেমন এটি ভাল সঞ্চালনে সাহায্য করে, হজমশক্তি বাড়ায়, হৃদযন্ত্রকে শক্তিশালী করে, শরীরের টক্সিন নিঃসরণে সাহায্য করে এবং অন্যান্য ভাল উপকারিতা যা শরীরের প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে আর এসব বার্ধক্য এবং রোগের সাথে ইতিবাচকভাবে সম্পর্কিত। আপনি যদি নিষ্ক্রিয় থাকেন, তাহলে আপনার শরীরে বিষাক্ত পদার্থ এবং প্রদাহজনক প্রতিক্রিয়ার উন্নতি ঘটবে, যা স্বয়ং-প্রতিরোধ ক্ষমতা এবং অন্যান্য রোগ সৃষ্টির মতো নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। গবেষণা বলে, সপ্তাহে কমপক্ষে ৩-৪বার ৩০ মিনিট ধরে ব্যায়াম করলে আপনার শরীর ফিট থাকবে।