সন্ত্রাসী হামলা ও কর্মী খুনের প্রতিবাদে কুষ্টিয়া জেলা হেযবুত তওহীদের স্মারকলিপি প্রদান
আলীফ আজগর সবুজ : পাবনা হেযবুত তওহীদ কার্যালয়ে সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে সুজন নামের এক কর্মীকে খুন ও দশজন কে গুরুতর আহত করার বিচারের দাবিতে জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেছে কুষ্টিয়া জেলা হেযবুত তওহীদ।
বুধবার দুপুরে হেযবুত তওহীদের কুষ্টিয়া জেলা শাখার উদ্যোগে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে সংক্ষিপ্ত আলোচনা ও বিক্ষোভ শেষে জেলা হেযবুত তওহীদের নেতৃবৃন্দ জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করে।
এসময় সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন কুষ্টিয়া জেলা হেযবুত তওহীদের সভাপতি আক্কাচ আলী । এতে উপস্থিত ছিলেন, জেলা হেযবুত তওহীদের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক, জেলা হেযবুত তওহীদের কৃষি বিষয়ক সম্পাদক মিজানুর রহমান মজনু,আইটি বিষয়ক সম্পাদক খন্দকার হাবিবউল্লাহ, ভেরামারা উপজেলা হেযবুত তওহীদের সভাপতি আয়মান আহাম্মেদ কামাল প্রমুখ।
জানা যায়, পাবনা শহরের চরঘোষপুর ৮ নং ওয়ার্ডের ভাটামোড় অবস্থিত কার্যালয়ে গত ২৩ আগষ্ট (মঙ্গলবার) রাত আটটায় জেলা সভাপতি সেলিম শেখ আন্দোলনের ১৫/১৬ জন সদস্যকে নিয়ে সাংগঠনিক বৈঠক করছিলেন। হঠাৎ করে ‘হেযবুত তওহীদের আস্তানা ভেঙে দাও গুড়িয়ে দাও, খ্রিষ্টানের আস্তানা ভেঙে দাও গুড়িয়ে দাও’ শ্লোগান দিতে দিতে কার্যালয়ে ঢুকে পড়ে একদল সশস্ত্র হামলাকারী। তাদের হাতে ছিল ধারালো চাপাতি, হাঁসুয়া, রাম দা, লাঠিসোটা, জিআই পাইপ, লোহার রড ইত্যাদি দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র। কোনো কথা না বলে তারা বৈঠকে উপস্থিত সবার উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে এবং ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথাড়ি কোপাতে থাকে থাকে।
ধারালো অস্ত্রের আঘাতে দশজন সদস্য মারাত্মকভাবে আহত হন যাদের একজন পরবর্তীতে মারা যান। রাতেই দুজনকে জরুরি চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সেখানে মো. সুজন (৩৩) রাত আড়াইটায় মারা যান এবং গুরুতর আহত আমিনুল ইসলাম (২৭) সেখানে আইসিইউ-তে রয়েছেন, যার অবস্থা অত্যন্ত সংকটজনক। পাবনা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন আলামিন শেখ (২৭) ও সেলিম শেখ (৪১)সহ অন্য ছয়জন।
.
হেযবুত তওহীদের পাবনা জেলা কার্যালয়ে প্রবেশকারী হামলাকারীদের সংখ্যা প্রায় ৪০/৫০ জনের মত ছিল। তবে কার্যালয়ের বাইরেও আরো অনেক সন্ত্রাসী অবস্থান করছিল। হেযবুত তওহীদের সদস্যরা তৎক্ষণাৎ পাবনা সদর থানায় ফোন করে পুলিশের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। কিন্তু ঘটনাস্থলে পুলিশের টিম পৌঁছাতে প্রায় পৌনে এক ঘণ্টা লেগে যায়। পুলিশ পৌঁছালে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। জেলা সভাপতি সেলিম শেখ বাদি হয়ে চিহ্নিত ১৪ জন এবং অজ্ঞাতনামা আরো ১০/১৫ জনের বিরুদ্ধে রাতেই মামলা দায়ের করেন। হেযবুত তওহীদ যেহেতু জঙ্গিবাদ, সাম্প্রদায়িকতা, ধর্মব্যবসার বিরুদ্ধে সোচ্চার, তাই বেশকিছুদিন থেকেই তারা উগ্রবাদী সন্ত্রাসীদের একটি হামলার ষড়যন্ত্রের আভাস পেয়েছিলো। দুর্বৃত্তরা বিভিন্ন স্থানে দীর্ঘদিন থেকে হেযবুত তওহীদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়ে আসছিল এবং অপপ্রচারমূলক মিথ্যা বক্তব্যসংবলিত হ্যান্ডবিল এলাকায় বিতরণ করা হচ্ছিল। এর প্রেক্ষিতে গত মাসেই পাবনা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছিল পাবনা হেযবুত তওহীদ । সাধারণ ডায়েরি নং-৩৯৭, তারিখ: ০৬/০৭/২০২২। প্রশাসন সাধারণ ডায়েরিটিকে আমলে নিয়ে কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেয়নি।