পদ্মা সেতুর আদ্যোপান্ত
চলাচলের জন্য প্রস্তুত স্বপ্নের পদ্মা সেতু। প্রমত্তা পদ্মার ওপর নির্মিত এ সেতু বাংলাদেশের সাহস, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অঙ্গীকার। ঢাকার সঙ্গে দেশের দক্ষিণ-দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলোর মানুষের যাতায়াত সহজ ও সময়সাশ্রয়ী করবে এই সেতু। আনবে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি, বাড়াবে জিডিপি। স্বপ্ন এখন হাঁটবে বাস্তবতার হাত ধরে।
- সেতুর নাম: পদ্মা সেতু
- প্রকল্পের নাম: পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্প
- অবস্থান: মুন্সিগঞ্জ, শরীয়তপুর ও মাদারীপুর জেলা
- মোট ব্যয়: ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি ৩৮ লাখ ৭৬ হাজার টাকা
- নির্মাণকাজ শুরু: ২৬ নভেম্বর, ২০১৪
- রেল সংযোগ: পদ্মা সেতুতে রেললাইন স্থাপন হচ্ছে স্প্যানের মধ্য দিয়ে
- ধরন:পদ্মা সেতু দ্বিতলবিশিষ্ট
- প্রধান উপকরণ: কংক্রিট ও স্টিল
- দৈর্ঘ্য: ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার
- প্রস্থ: পদ্মা সেতুর প্রস্থ হবে ৭২ ফুট, এতে থাকবে চার লেনের সড়ক। মাঝখানে রোড ডিভাইডার।
- ভায়াডাক্ট: ৩ দশমিক ১৮ কিলোমিটার
- ভায়াডাক্ট পিলার: ৮১টি
- পানির স্তর থেকে উচ্চতা: ৬০ ফুট
- পাইলিং গভীরতা: ৩৮৩ ফুট
- মোট পিলার: ৪২টি
- মোট পাইলিং: ২৮৬টি
- সংযোগ সড়ক: ১৪ কিলোমিটার
- নদীশাসন: প্রকল্প এলাকায় প্রায় ১৪ কিলোমিটার নদীশাসন করতে হচ্ছে। এর মধ্যে মাওয়া এলাকায় ১ দশমিক ৬ কিলোমিটার এবং বাকি ১২ দশমিক ৪০ কিলোমিটার জাজিরা এলাকায়।
- ভূমি অধিগ্রহণ: ভূমি অধিগ্রহণের পরিমাণ ২ হাজার ৬৯৩ দশমিক ২১ হেক্টর
- অ্যাপ্রোচ রোড: জাজিরা ও মাওয়া
পদ্মা সেতু জাদুঘর স্থাপন
পদ্মা বহুমুখী সেতু নির্মাণ প্রকল্প ও প্রাণিবিদ্যা বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে সম্পাদিত চুক্তির আওতায় ‘পদ্মা সেতু জাদুঘর প্রতিষ্ঠা’র জন্য নমুনা সংগ্রহ ও সংরক্ষণের কাজ চলমান।
জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ ও অভয়ারণ্য ব্যবস্থাপনা কর্মসূচি: পদ্মা সেতু বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য ঘোষণা সম্পন্ন হয়েছে এবং গেজেট প্রকাশিত হয়েছে। ‘খসড়া ম্যানেজমেন্ট প্লান’ চূড়ান্তকরণের কাজ চলমান।
স্বপ্নজয়ের পদ্মা সেতু
ছিল সীমাবদ্ধতা, ছিল প্রতিকূলতা। সব বাধা জয় করে নিজেদের টাকায় পদ্মা সেতু বানিয়ে বিশ্বকে চমকে দিয়েছে বাংলাদেশ। এ গর্ব সীমাহীন, এ আনন্দ অতুলনীয়, এ অর্জন অভূতপূর্ব।