অর্থনীতিজাতীয়

ই-অরেঞ্জের সোহেল রানাসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা

বার্তা প্রতিবেদক: ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ই-অরেঞ্জ গ্রাহকের ৭৬ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে প্রতিষ্ঠানটির পৃষ্ঠপোষক বনানী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সোহেল রানাসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

মামলার অপর আসামিরা হলেন: ই-অরেঞ্জের মালিক সোনিয়া মেহজাবিন, তার স্বামী মাসুকুর রহমান, প্রতিষ্ঠানটির চিফ অপারেটিং অফিসার (সিওও) আমান উল্লাহ, নাজনিন নাহার বিথি, কাওসার, কামরুল হাসান, আব্দুল কাদের, নূরজাহান ইসলাম সোনিয়া ও রুবেল খান।

শনিবার (৪ সেপ্টেম্বর) আদালতের গুলশান থানার সাধারণ নিবন্ধন শাখা বিষয়টি জানিয়েছে।

জানা যায়, শুক্রবার (৩ সেপ্টেম্বর) গুলশান থানায় দায়ের করা মামলাটি আদালতে পৌঁছালে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শাহিনুর রহমান এজহার গ্রহণ করেন। এরপর তদন্ত করে আগামী ১০ অক্টোবর প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য করেন।

গত ৩১ আগস্ট ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোর্শেদ আল মামুন ভূঁইয়ার আদালতে ইসতিয়াক হোসেন টিটু নামে এক ভুক্তভোগী সোহেল রানাসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলার আবেদন করেন। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে এফআইআর হিসেবে গ্রহণ করার নির্দেশ দেন।

ই-অরেঞ্জের কথিত পৃষ্ঠপোষক বনানী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সোহেল রানাকে ভারত-নেপাল সীমান্ত এলাকা থেকে আটক করা হয়েছে। শুক্রবার ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফের) সদস্যরা পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহার জেলার চ্যাংরাবান্ধা সীমান্ত থেকে তাকে আটক করেছেন।

আরও পড়ুন:পুঁজিবাজার থেকে মূলধন সংগ্রহ করতে পারবেন এসএমই উদ্যোক্তারা

এ বিষয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গুলশান বিভাগে উপকমিশনার (ডিসি) মো. আসাদুজ্জামান বলেন, সর্বশেষ গত বৃহস্পতিবার অফিস করেছেন সোহেল রানা। পরদিন ছিল শুক্রবার। তবে আজো থানায় আসেননি তিনি। রিপোর্টও দেননি, ছুটিও নেননি। তার ফোন বন্ধ পাচ্ছি। গণমাধ্যম সূত্রে খবর পেয়েছি তিনি নেপাল-ভারত সীমান্তে বিএসএফর হাতে আটক হয়েছেন। তবে আমরা এখনো তা নিশ্চিত হতে পারিনি।

Related Articles

Back to top button

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker