গোলে ২৯ শট নিয়েও বিদায় নেওয়ার দুঃখ রোনালদোদের
খেলা ডেস্ক:ভাগ্যকেই দুষছেন পর্তুগালের কোচ ফার্নান্দো সান্তোস। ভাগ্যাহত পর্তুগাল দলের ইউরো থেকে বিদায়কে ‘অবিচার’ মনে করেন তিনি। গোটা ম্যাচে ২৯টি শট গোলে মেরেও ম্যাচ হারটাকে এভাবেই ব্যাখ্যা করতে চান ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোদের এই প্রবীণ কোচ।
থরগান হ্যাজার্ড কি নিজেও ভেবেছিলেন ওই শট পর্তুগাল গোলকিপার রুই পাত্রিসিওকে এভাবে বোকা বানাবে! আচমকা এমন শট তো প্রতিটি ম্যাচেই কত খেলোয়াড় নেন! সব শট থেকেই কি গোল হয়! কিন্তু কাল হলো। সে কারণেই হয়তো সান্তোস উচ্চারণ করছেন ‘অবিচার’ শব্দটা।
তবে পর্তুগাল কোচ ফুটবলীয় ব্যাখ্যাটাও দিয়েছেন। গোলের খেলা ফুটবলে যে দল গোল করবে, তারাই তো জিতবে। কাল সেভিয়াতে হিসাবটা তো খুবই সোজা—বেলজিয়াম গোল করেছে, তাই জিতেছে। পর্তুগাল গোল করতে পারেনি, হেরেছে, ‘হিসাবটা খুবই সোজা, বেলজিয়াম গোল করেই জিতেছে। আমরা গোল করতে পারিনি। যদিও আমি পর্তুগালের হারকে “অবিচার” বলব। আমরা ছিলাম ভাগ্যবঞ্চিত। বেলজিয়াম গোল লক্ষ্য করে ৬টি শট নিয়ে একটা গোল পেয়েছে। আমরা ২৯টি শট নিয়েও গোল করতে পারলাম না।
হারের পরেও নিজ দলের খেলোয়াড়দের ওপর তাঁর ভালোবাসা সীমাহীন, ‘আমার খেলোয়াড়েরা নিজেদের সর্বোচ্চটা দিয়ে লড়েছে। গোল খেয়ে পিছিয়ে পড়ার পর ভেবেছিলাম ঘুরে দাঁড়াতে পারব, গোল করে ম্যাচে ফিরতে পারব। কিন্তু তা হয়নি। ফুটবল এমনই।’
দলের হতাশার মাত্রাটা এ মুহূর্তে সীমাহীনই মনে হচ্ছে সান্তোসের কাছে, ‘আমরা খুবই হতাশ। ম্যাচ শেষে ড্রেসিংরুমে অনেক খেলোয়াড় কেঁদেছে। এ হার মেনে নেওয়া তাদের জন্য খুবই কষ্টকর। আমরা ভেবেছিলাম, ২০১৬ সালের পর আবারও আমরা ইউরো জিতব। তবে এটা বলতেই হয়, ওরা যে খেলা খেলেছে, গোটা পর্তুগালেরই উচিত, ওদের জন্য গর্বিত হওয়া।’
ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোই ছিলেন পর্তুগালের প্রাণভোমরা। তাঁর ওপরই ছিল যত আশা-ভরসা। কাল বেলজিয়ামের বিপক্ষে ম্যাচে মাহেন্দ্রক্ষণের সামনেই দাঁড়িয়ে ছিলেন তিনি। এরই মধ্যে ১০৯ গোল করে আন্তর্জাতিক ফুটবলে সবচেয়ে বেশি গোল করার রেকর্ডে পাশে বসেছেন ইরানি স্ট্রাইকার আলী দাইয়ির।
বেলজিয়ামের বিপক্ষেই তিনি হয়ে যেতে পারতেন একক সেরা। একটি গোলই বাকি ছিল। কিন্তু তিনি পারেননি। বোতলবন্দী হয়েই ছিলেন। তবে প্রথমার্ধে বেলজিয়াম গোলকিপার থিবো কর্তোয়াকে পরীক্ষায় ফেলেছিলেন একটা দূরপাল্লার শটে।
সান্তোস অবশ্য গর্বিত তাঁর অধিনায়ককে নিয়ে, ‘সে (রোনালদো) আজ গোল করতে পারেনি। কিন্তু ভুলে গেলে চলবে না, এ টুর্নামেন্টে সে ৫ গোল করেছে। অধিনায়ক হিসেবে তার তুলনা সে নিজেই। সে অধিনায়ক হিসেবে সত্যিকারের এক অনুপ্রেরণা দলের খেলোয়াড়দের জন্য। রোনালদো আজ নিজের সর্বোচ্চটা দিয়েই ম্যাচ ঘুরিয়ে দিতে চেষ্টা করে গেছে।