রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের উদ্যোগে রবীন্দ্র কুঠিবাড়িতে ভিন্ন আঙ্গিকে শহিদ দিবস উদযাপন
রাকিব মাহমুদ, রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ প্রতিনিধি
বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতি বিজড়িত শাহজাদপুরে রবীন্দ্র কুঠিবাড়ি আজ আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ও শহিদ দিবসে ভিন্ন রূপ ধারণ করেছে।বিশ্বকবির নামে প্রতিষ্ঠিত রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের উদ্যোগে নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে রবীন্দ্র কুঠিবাড়িতে আজ পালিত হচ্ছে শহিদ দিবস।রবীন্দ্র কুঠিবাড়ির আজকের চিত্র মনে করিয়ে দেয় বিশ্বকবির সাথে আমাদের বাংলা ভাষার কতটা গভীর সম্পর্ক ছিল।রবীন্দ্রনাথ যে বাঙালির চেতনার সাথে জড়িয়ে আছে তারই প্রতিফলন আজকে তার স্মৃতি বিজড়িত কুঠিবাড়ির এই আয়োজন।
আজ ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২২ সোমবার রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষ্যে বিভিন্ন কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। রাত ১২:০১ মিনিটে শহীদবেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশের মাননীয় ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোঃ শাহ্ আজম। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকমণ্ডলী, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সকাল এগারোটায় শাহজাদপুরের রবীন্দ্র কাছারি বাড়িতে অবস্থিত ঐতিহাসিক বকুলতলায় শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষ্যে আলোচনাসভা শুরু হয়।
এতে সভাপতিত্ব করেন রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোঃ শাহ্ আজম। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিরাজগঞ্জ ৬ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য প্রফেসর মেরিনা জাহান কবিতা, প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য প্রফেসর ড. আব্দুল খালেক এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন আরিজোনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং শাহজাদপুরের সমাজসেবক ড. ইউনুস আলী খান-এর কন্যা প্রফেসর প্রিসিলা খান মলি।
প্রফেসর প্রিসিলা খান মলি রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের এই আয়োজনকে শেকড়সন্ধানী আখ্যা দিয়ে, তার প্রশংসা করেন। প্রধান বক্তা প্রফেসর ড. আব্দুল খালেক ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস ও তাৎপরয তুলে ধরে আলোচনা করেন। তিনি বলেন, ভাষাসৈনিকগণ তাঁদের বুকের রক্ত দিয়ে বাঙালি পরিচয়ের কথা বলে গেছেন আর এই ভাষা আন্দোলনের রক্তক্ষয়ী ইতিহাসের সূত্র ধরেই বঙ্গবন্ধুর আহ্বানে সমগ্র জাতি মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেয়। প্রধান অতিথি প্রফেসর মেরিনা জাহান কবিতা বলেন, একুশ মানে প্রাণের আশা, একুশ মানে শৃঙ্খল থেকে মুক্ত হওয়া।
তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের অগ্রনায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ শখ মুজিবুর রহমানকে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন। প্রধান অতিথি শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষ্যে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের আয়োজনের প্রশংসা করেন ও শুভকামনা জানান। সভাপতির বক্তব্যে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোঃ শাহ্ আজম ভাষা শহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানান। তিনি ভাষা আন্দোলনে বঙ্গবন্ধুর অবদানকে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন। ভাইস-চ্যান্সেলর মহোদয় আলোচনার এক পর্যাায়ে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় শাহজাদপুরবাসীর আন্তরিক দাবির কথা শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন।
তিনি আরও বলেন, এবছর রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় শাহজাদপুরের রবীন্দ্র কাছারিবাড়ির বকুলতলায় শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করছে। এর মধ্য দিয়ে একটি হারানো সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে পুনরুজ্জীবীত করা সম্ভব হলো। মাননীয় ভাইস-চ্যান্সেলর মহোদয় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে নিয়ে গবেষণা, মুক্ত ও মানবিক সংস্কৃতির চর্চার প্রয়োজনে শাহজাদপুরের রবীন্দ্র কাছারি বাড়িটিকে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের তত্ত্বাবধানে প্রদান করার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতা কামনা করেন। তিনি আগত অতিথিসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দকে ধন্যবাদ জানিয়ে আলোচনা সমাপ্ত করেন।
আলোচনা সভা শেষে বিকাল ৪:০০ ঘটিকায় রবীন্দ্র কাছারি বাড়ি বকুল তলায় এক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।এই অনুষ্ঠানে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ এর শিক্ষার্থীদের পরিবেশনায় সবাই জেনো কিছু সময়ের জন্য ১৯৫২ সালের সেই ফেব্রুয়ারিতে হারিয়ে