সা,লিশ করতে গিয়ে কিশোরীকে বিয়ে করে নিলেন চে’য়ারম্যান
পটুয়াখালীর বাউফলে ইউনিয়ন পরিষদের চে,য়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার কয়েকদিন পর, প্রেমের সম্পর্কের সা,লিশ করতে গিয়ে কিশোরীকে পছন্দ হওয়ায় বিয়ে করে নিয়েছেন চেয়ারম্যান নিজেই। এদিকে প্রে’মিকাকে হারিয়ে কষ্ট সহ্য করতে না পেরে প্রেমিক রমজান বিষপানে আ,ত্মহত্যার চেষ্টা করেন। তিনি বর্তমানে বাউফল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আ’ছেন।
অ,ভিযুক্ত ওই চেয়ারম্যানের নাম শাহিন হাওলাদার (৬০)। তিনি আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রা,র্থী হয়ে নৌকা মার্কায় নি’র্বাচন করে ইউনিয়নের দ্বিতীয়বার চেয়ারম্যান নি,র্বাচিত হয়েছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, কন,কদিয়া ইউনিয়নের নারায়ণপাশা গ্রামের রমজান (২৫) নামের এক যু’বকের সাথে একই ইউনিয়নের চুনারপুল এলাকার নবম শ্রেণির ছাত্রী ন,ছিমনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। কিন্তু এ সম্পর্ক মেনে নিতে পারেননি নছিমনের বাবা নজরুল ইসলাম। তিনি এবিষয়টি কনকদিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহিন হাওলাদারকে জানান।
চেয়ারম্যান শাহিন হাওলাদার শুক্রবার ইউনিয়ন পরিষদে সালিশ বৈঠক ডা,কেন। ওই বৈঠকে রমজান ও ন’ছিমনসহ দুই পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। সা,লিস বৈঠকে মেয়ে দেখে পছন্দ হয়ে যাওয়ায় তাকে বিয়ের প্রস্তাব দেন চেয়ারম্যান শাহিন হাওলাদার। মেয়ের বাবা এ বিয়েতে সম্মতি প্রকাশ করলে ওই দিন বাদজুমা চেয়ারম্যানের আ,য়লা বাজারস্থ বাসায় কাজী ডেকে এনে ৫ লাখ টাকা কাবিনে নছিমনকে বিয়ে করেন। এটি চেয়ারম্যানের দ্বিতীয় বিয়ে।
ন,ছিমন কনকদিয়া বালিকা বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী বলে জানা গেছে। স্থা’নীয়রা জানান, ওই কিশোরীর বয়স ১৫-১৬ বছর হবে। এ ব্যাপারে শাহিন হাওলাদারের স’ঙ্গে তার মোবাইল ফোনে যো’গাযোগ করা হলে তিনি ঘ,টনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, মেয়েটিকে দেখে আমার পছন্দ হওয়ায় তাকে বিয়ে করেছি। এ ছাড়া আমার বিয়ে প্র,য়োজন ছিল। ক’নের বয়স সম্পর্কে জানতে চা,ইলে তিনি বলেন,তিনি নবম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশুনা ক,রেছেন। তার জন্ম তারিখ ২১ এপ্রিল ২০০৩। তিন বছর হয় পড়াশুনা বাদ দিয়েছেন। বিয়ের বি,ষয়টি নিয়ে তিনি লজ্জিত নন বরং আ,নন্দিত।