কুমারখালীতে শশুর দেবরের অত্যাচারে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে চার সন্তানের জননীর আত্মহত্যার চেষ্টা!
নিজস্ব প্রতিনিধি : কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার নন্দলালপুরে ঘরের আড়ার সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন চার সন্তানের জননী শিউলি( ৩৫)নামের এক গৃহবধূ । পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, শশুর ও দেবরের অত্যাচার সইতে না পেরে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন তিনি। শনিবার (৯ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে ইউনিয়নের নাউতি ভবানীপুরে এ ঘটনা ঘটে। শিউলি’র গ্রামের বাড়ি একই উপজেলার কয়া ইউনিয়নের রায়ডাঙ্গা এলকায় ।
পরিবারের সদস্যরা ও স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য কুমারখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। পরে অবস্থা অবনতি হলে তাকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। তার অবস্থা এখনো আশঙ্কামুক্ত নয় বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।এরপর বিকেলের দিকে অবস্থার আরো অবনতি হলে তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ঐ গৃহবধূর স্বামী বকুল (৪০)বলেন, আমার বাবা শাজদ হোসেন @নেপাল ও ছোট ভাই লিটন মেকার প্রায়শই আমি ও স্ত্রী সন্তানদের নানা অজুহাতে নির্যাতন করে আসছে।
সবশেষ গত কাল(৮ এপ্রিল) আমার বাড়িতে ধারালো অস্ত্র নিয়ে এসে আমার বাবা ও ছোটভাই আমার বাড়ির গাছপালা কেটে দেয়,এবং আমি আমার স্ত্রী ও সন্তানদের অকথ্য ভাষায় শাসীয়ে যায়।পরে শশুর ও দেবরের অসালীন আচরন না মেনে নিতে পেরে অভিমানে আজ সকালে এই পথ বেছে নিয়েছেন শিউলি । তিনি এখনো কথা বলতে পারছেন না। চিকিৎসকরা পর্যবেক্ষণের জন্য সময় চেয়েছেন। এরপর তারা বলতে পারবেন তার অবস্থা কী। এদিকে অভিযুক্ত শাজদ হোসেনের কাছে জানতে চাইলে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন,আমি আমার জমির গাছপালা কেটেছি এটা সত্যি, রাগের বশবর্তী হয়ে গালিগালাজ করেছি এটাও সত্যি কিন্তু কারো গায়ে হাত তুলিনি।
এদিকে স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ঐ নারী ও তার সন্তানদের উপর বারবার অমানবিক নির্যাতন করেও কতিপয় স্থানীয় পাতি নেতাদের প্রভাবে পার পেয়ে যায় তারা। এর সুষ্ঠ বিচার চাই।