ভালবাসায় বলি হলেন যুবক: ইকোপার্কের ভেতরে পাওয়া গেল মরদেহ
কুষ্টিয়া শহরের মিলপাড়ার গড়াই নদীর ধারে নির্মাণাধীন ইকোপার্ক থেকে সবুজ মন্ডল (১৯) নামে এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।’ বুধবার (২২ ডিসেম্বর) সকাল ৮টার দিকে সবুজের মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে। নিহতের বাবা জানান, সবুজ স্থানীয় একটি তিলের খাজা কারখানায় কাজ করে।
মঙ্গলবার (২১ ডিসেম্বর) রাতে কারখানায় কাজে যাওয়ার পরে সে আর ফিরে আসেনি। পরে রাত একটার দিকে কারখানা থেকে অজ্ঞাতনামা একজন সবুজকে ডেকে নিয়ে যায়। পুলিশ ও স্থানীয়সুত্রে জানা যায়, সবুজ মন্ডলের সঙ্গে ইকোপার্ক এলাকার ছদ্মনাম (লাবনী) নামের এক তরুণীর সাথে দীর্ঘেিনর প্রেমের সম্পর্ক ছিল। গত ১৫ দিন আগে কুমারখালীতে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় ওই তরুণীর। বিয়ের সাত দিনের মাথায় লাবনী তার স্বামীরবাড়ি থেকে বাবার বাড়ি চলে আসে । তারপর থেকে আবারো সবুজের সাথে যোগাযোগ শুরু করে লাবনী।
সবুজের সাথে দেখা করে এবং মোবাইলে কথে বলে ওই তরুণী। মঙ্গলবার রাতে প্রেমিকার বাড়ি ইকোপার্কের পূর্ব পাশে দেখা করতে যায় সবুজ । এসময় লাবনীর বাবা- ভাই সবুজকে কুপিয়ে হত্যা করে। সবুজকে মাথা, হাতসহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় কুপিয়ে হত্যা করা হয়।নিহতের বাবা হায়দার আলী বলেন, ছেলেকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে। প্রেমঘটিত বিষয়কে কেন্দ্র করে ছেলেকে কুপিয়ে হত্যা করেছে ওই তরুণীর পরিবারের লোকজন ও তার সাবেক শ্বশুরবাড়ির মানুষ। কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাব্বির উল আলম বলেন, স্থানীয়দের খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, প্রেম বা পরকীয়া সম্পর্কের জেরে তাকে হত্যা করা হতে পারে।
পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখছে পুলিশ এবং অপরাধীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে। নিহত সবুজ মন্ডল শহরের পূর্বমিলপাড়া এলাকার হায়দার আলীর ছেলে ও স্থানীয় একটি তিলের খাজা কারখানা শ্রমিক ছিলেন। এ বিষয়ে কথা বলার জন্য সবুজের প্রেমিকা ওই তরুণীর বাড়িতে গেলে কাউকে পাওয়া যায়নি।এ রির্পোট লেখা পর্যন্ত পুলিশ ওই তরুণীর ভাবি সহ দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদেও জন্য হেফাজতে নিয়েছে।