সাবেক তথ্যমন্ত্রীর নাম ভাঙিয়ে কবিরাজি চিকিৎসার নামে প্রতারনার ফাঁদ
নিজস্ব প্রতিনিধি : কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার মালিহাদে সাবেক তথ্যমন্ত্রীর নাম ভাঙিয়ে বিভিন্ন সমস্যার সমাধান ও চিকিৎসা সেবার নামে প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে তথাকথিত এক নারী কবিরাজের বিরুদ্ধে । জনশ্রুতি রয়েছে স্বাক্ষর জ্ঞানহীন ঐ নারীর কাছে এমন কোন জটিল ও কঠিন সমস্যা নেই যে সমস্যার সমাধান তার কাছে নেই।
ভুয়া ওই কবিরাজের নাম রাখিয়া খাতুন(৪৫) । সে মালিহাদ ইউনিয়নের বাজিতপুর গ্রামের রবিউলের স্ত্রী । সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, বাজিতপুর গ্রামে একটি আখড়াবাড়ী খুলে দীর্ঘ বিশ বছর ধরে কবিরাজি চিকিৎসা সেবার নামে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন দূর্দান্ত এ প্রতারক ও তার সহযোগীরা । এলাকাবাসী জানায় , চিকিৎসার নামে সাধারণ রোগীদের সাথে প্রতারনা করে আসছে ভূয়া কবিরাজ রাখিয়া(৪৫) ।
অথচ এ নিয়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি সহ সংশ্লিষ্ট কারোই যেন কোন মাথা ব্যাথা নেই। ২০১৭ সালের জুন মাসে সাবেক তথ্য মন্ত্রী হাসানুল হক ইনু স্বাক্ষরিত একটি নিরপত্তা চেয়ে মিরপুর থানায় আবেদনকৃত ফটোকপিকে পুজি করে দিনের পর দিন সাধারণ মানুষের সাথে প্রতারনা করে আসছে ঐ নারী কবিরাজ। ঐ দরখাস্তে দেখা যায়, তিনি উল্লেখ করেছেন বিভিন্ন ঔষধী গাছ দ্বারা নানাবিধ রোগের চিকিৎসা দিয়ে আাসছেন, যার দরুন প্রতি শনি, সোম ও বৃহস্পতিবার তার বাড়িতে রোগীদের উপচে পরা ভিড় হয়।যেটি সামলাতে ও স্থানীয়দের উৎপাৎ ঠেকাতে তিনি থানা পুলিশের সাহায্য চেয়েছেন।ঐ আবেদনটির উপরের দিকের ডান পাশে সাবেক তথ্য মন্ত্রীর সীলযুক্ত স্বাক্ষর ও সুপারিশ দেখা যায়।
যদিও ঐ দরখাস্তটি আসল কিনা তা নিয়ে সন্দেহ থেকে যায়। সামান্য ঝাড়ফুক, তেল ও পানি পড়ার মাধ্যমে গ্যারান্টি সহকারে স্বামী-স্ত্রী অমিল, প্রেমে ব্যার্থতা, জিনের আছর, যে কোন লোককে বশ করা, জন্ডিস, যৌনরোগ ও ক্যান্সারসহ জটিল ও কঠিন রোগের চিকিৎসা করে আসছে এই কবিরাজ। ওপেন চ্যালেঞ্জ, গ্যারান্টির আশ্বাস প্রদান করে চিকিৎসা সেবার নামে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে এই প্রতারক কবিরাজ। অথচ এই কবিরাজি চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানের সরকার অনুমোদিত কোন স্বীকৃতি পত্র নেই। এবিষয়ে তার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন,অবৈধ হলে ইনু সাহেবের মত লোক আমাকে পারমিশন দিত না। দীর্ঘ ২০ বছর ধরে ঐ এলাকার সাধারন মানুষকে নানা সমস্যার আধ্যাতিক সমাধান দিয়ে আসছি। যেটা পুরোটাই বিনামূল্যে।যদি কেউ খুশি হয়ে গরু ছাগল অথবা টাকা পয়সা দান করেন তাতে তিনি না করেন না। এ ব্যাপারে মালিহাদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আকরাম হোসেন বলেন বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে খোঁজ খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা নেবেন বলে জানান তিনি।