অপরাধ

হরিনারায়ণপুরে চিনি চুন দিয়ে তৈরি হচ্ছে ভেজাল গুড়

নিজস্ব প্রতিনিধি : খেজুরের গুড় তৈরির প্রধান ও একমাত্র উপাদান হলো খেজুর গাছ থেকে নিঃসৃত রস, যা বিশেষ প্রক্রিয়ায় জ্বাল দিয়ে তৈরি হয় তরল বা নরম গুড় ও পাটালি। আখের গুড়ের ক্ষেত্রেও একই প্রকৃয়া। অথচ কুষ্টিয়া সদর উপজেলার হরিনারায়ণপুর এলাকায় সৌখিন সাহা নামের্ এক ব্যাক্তির মালিকানাধীন মের্সাস আতরওয়ালা নামের একটি প্রতিষ্ঠানে চিনি ফিটকিরি, চুন ও হাইড্রোজের মতো ক্ষতিকর উপাদান দিয়ে অবাধে তৈরি হচ্ছে ভেজাল ও নিন্মমানের গুড়।

এ প্রতিষ্ঠানে খেজুর ও আখের রস ছাড়াই অত্যান্ত অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে চিনিতে বিভিন্ন রাসায়নিক মিশিয়ে তৈরি হচ্ছে মনকে মন গুড়। ভেজাল এই গুড়ে উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজার যেন সয়লাব হয়ে গেছে। তবে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি। অধিক মুনাফার আশায় অসাধু ঐ ব্যাবসায়ী প্রতিনিয়ত চিনি, চুন, ডালডাসহ বিভিন্ন উপাদান মিশিয়ে তৈরি করে যাচ্ছে ভেজাল গুড়। সরেজমিনে দেখা যায়, কারখানাটিতে নোংড়া স্যাৎ স্যাতে পরিবেশে গুড় তৈরিতে গাছিরা আখের গুড় তৈরিতে ব্যবহার করছেন সুগারমিলের পরিত্যক্ত গো-খাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত চিটাগুড়, চিনি, হাজার পাওয়ারের রং, ডালডা ও আটা। খেজুরের গুড়ের ক্ষেত্রেও একই অবস্থা।

সাধারণত অধিক লাভ এবং ওজন বৃদ্ধির জন্য গুড় উৎপাদনকারী ঐ প্রতিষ্ঠানটি এ সব ক্ষতিকর গো-খাদ্যসহ বিভিন্ন কেমিক্যাল ব্যবহার করছেন। এসব ভেজাল গুড় বিক্রি করা হচ্ছে স্থানীয় বাজারসহ ও দেশের বিভিন্ন হাটবাজারে। দীর্ঘদিন ধরে হরিনারায়ণপুরের এলাকায় এমন অবৈধ কর্মযজ্ঞ চললেও স্থানীয় প্রশাসন এ বিষয়ে উদাসীন। এলাকাবাসী জানান, এ সব ভেজাল আখ ও খেজুর গুড় স্থানীয় বাজারসহ দেশের বিভিন্ন হাট বাজারে বাজারজাত করা হয়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাধন কুমার বিশ্বাস বলেন, এ বিষয়ে কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। তবে অভিযোগ পেলে দ্রুত মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker