প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা ২০২২ কবে হবে
প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা ২০২২ কবে হবে – এ ব্যাপারে অনেকেই জানতে চেয়েছেন। দেশের সরকারি প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা এপ্রিল মাসের মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তারিখ (১, ৮, ১৫, ২২ ও ২৯ এপ্রিল ২০২২) উল্লেখ করে ৫টি ধাপে ঢাকার বিভিন্ন কেন্দ্রে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা হওয়ার কথা বলা হচ্ছে। যদিও অফিসিয়ালি এ ধরনের কোনো ঘোষণা এখনো আসেনি।
এদিকে, ১৬ মার্চ ২০২২ তারিখে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার তারিখ ও কেন্দ্র নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের বিভ্রান্তিমূলক তথ্য ও গুজব থেকে চাকরি প্রার্থীদের সতর্ক থাকতে বলেছে । পরীক্ষার তারিখ নির্ধারণ করা হলে গণমাধ্যম ও ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে বলে জানিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর কর্তৃপক্ষ।
এর আগে, ১০ মার্চ ২০২২ তারিখে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এপ্রিলের (২০২২) মধ্যে প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। এপ্রিলের মধ্যে পরীক্ষা নেওয়া শেষে উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীদের জুলাই মাসের মধ্যে নিয়োগ দেওয়া হবে। এরপর থেকে এখন পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার কোনো সুনির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণা করা হয়নি।
প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার তারিখ
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকের নিয়োগ পরীক্ষার তারিখ এখনো চূড়ান্ত করা হয়নি। তবে এপ্রিল মাসের মধ্যে এই পরীক্ষা হবে বলে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার প্রবেশপত্র
পরীক্ষা শুরুর ৫ দিন আগে অনলাইন (https://dpe.teletalk.com.bd) থেকে প্রবেশপত্র ডাউনলোড করতে বলা হবে। প্রতি ধাপের পরীক্ষা শুরুর আগে একইভাবে প্রবেশপত্র দেওয়া হবে। আবেদনকারীর মোবাইলে এসএমএসের মাধ্যমে পাঠানো হবে ডাউনলোডের লিংক।
শিক্ষক পদ প্রায় ৪৫,০০০টি
১০ মার্চ ২০২২ তারিখের জানানো হয়, সহকারী শিক্ষক হিসেবে ৩২,৫৭৭টি শূন্য পদে নিয়োগের জন্য প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর ২০২০ সালের ২০ অক্টোবর বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। কিন্তু করোনা মহামারির কারণে পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হয়নি। ইতিমধ্যে অবসরজনিত কারণে আরও ১০ হাজারেরও বেশি সহকারী শিক্ষকের পদ শূন্য হয়ে পড়েছে। এতে বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষক ঘাটতি দেখা দিয়েছে। এ সমস্যার সমাধানে মন্ত্রণালয় আগের বিজ্ঞপ্তির শূন্য পদ ও বিজ্ঞপ্তির পরের শূন্য পদ মিলিয়ে প্রায় ৪৫ হাজার সহকারী শিক্ষক নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
প্রাথমিকের ইতিহাসে এটিই এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি। আবেদন করেছেন ১৩ লাখ ৯ হাজার ৪৬১ জন প্রার্থী। সবচেয়ে বেশি আবেদন পড়েছে ঢাকা বিভাগে ২ লাখ ৪০ হাজার ৬১৯টি। এরপর রাজশাহীতে ২ লাখ ১০ হাজার ৪৩০টি, খুলনায় ১ লাখ ৭৮ হাজার ৮০৩টি ।
প্রাথমিকের ইতিহাসে এটিই এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি। ২০২০ সালের ২৫ অক্টোবর অনলাইনে আবেদন শুরু হয়। আবেদন করেছেন ১৩ লাখ ৯ হাজার ৪৬১ জন প্রার্থী।
এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি আবেদন পড়েছে ঢাকা বিভাগে ২ লাখ ৪০ হাজার ৬১৯টি। এরপর রাজশাহীতে ২ লাখ ১০ হাজার ৪৩০টি, খুলনায় ১ লাখ ৭৮ হাজার ৮০৩টি, ময়মনসিংহে ১ লাখ ১২ হাজার ২৫৬টি, চট্টগ্রামে ১ লাখ ৯৯ হাজার ২৩৬টি, বরিশালে ১ লাখ ৯ হাজার ৩৪৪টি, সিলেট ৬২ হাজার ৬০৭টি এবং রংপুর বিভাগে ১ লাখ ৯৬ হাজার ১৬৬টি।
সভায় মন্ত্রণালয়ের সচিব আমিনুল ইসলাম খান, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আলমগীর মোহাম্মদ মনসুরুল আলম, মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব আবু বকর সিদ্দিক, রুহুল আমিন ও মোশাররফ হোসেন উপস্থিত ছিলেন
প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার নাম্বার বণ্টন
বাংলা (২০) | বাংলা সাহিত্য (৩), ব্যাকরণ (১৭) |
গণিত (২০) | পাটিগণিত (৮/৯), বীজগণিত (৫/৬), জ্যামিতি (৫) |
সাধারণ জ্ঞান (২০) | বাংলাদেশ বিষয়াবলী (৭/৮), আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী (৫/৬), সাম্প্রতিক বিষয়াবলী (৫/৬) |
ইংরেজি | ২০ |
মৌখিক পরীক্ষা : | ২০ |