Tarun Majumder Passed Away || চলে গেলেন পরিচালক তরুণ মজুমদার
সোমবার সকালেই নক্ষত্রপতন। চলে গেলেন বিশিষ্ট পরিচালক তরুণ মজুমদার। সোমবার (৪ জুন) বাংলাদেশ সময় সকাল ১১টা ৪৭ মিনিটে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। বয়স হয়েছিল ৯১ বছর।
তরুণ মজুমদার ১৪ জুন কিডনি সমস্যা নিয়ে ভর্তি হন কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে। এরপর দুটি ফুসফুসে সংক্রমণ ধরা পড়ে। মাঝে কিছুটা সুস্থও হয়েছিলেন। তবে রোবরার মধ্যরাত থেকেই তার অবস্থার অবনতি হতে শুরু করে। জ্ঞানও ছিল না তার। ডায়ালিসিসের দরকার ছিল। কিন্তু শারীরিক অবস্থার কারণে ডায়ালিসিস নেওয়ার অবস্থায় তিনি ছিলেন না বলে জানান চিকিৎসকরা। পুরোপুরি ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছিল তাকে। সেখানেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন এই বর্ষীয়ান পরিচালক।
রসায়নের ছাত্র তরুণ মজুমদারের সিনেমা প্রতি আকর্ষণ ছিল ছোটবেলা থেকেই। ভারতের পূর্ববঙ্গের এক মফস্বল শহরের মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান চেনা ছকের বাইরে হেঁটে সিনেমাওয়ালা হতে চেয়েছিলেন। সাফল্যও পেয়েছেন। ১৯৫৯ সালে শচীন এবং দিলীপের সঙ্গে হাত মিলিয়ে তৈরি করেন ‘যাত্রিক’। এই ত্রয়ীর প্রথম ছবি ‘চাওয়া পাওয়া’। তিন নম্বর ছবিতে ‘কাঁচের স্বর্গ’তেই ছক ভেঙেছেন। জাতীয় পুরস্কার পেয়েছেন তরুণ মজুমদার।
১৯৫৯ সালে ছবির জগতে পা রাখা মানুষটি কাজ করেছেন শেষজীবন পর্যন্ত। ২০১৮ সালে মুক্তি পেয়েছিল তরুণ মজুমদার পরিচালিত ‘ভালোবাসার বাড়ি’। কদিন আগেও নতুন তথ্যচিত্রের রেকির কাজ সেরেছিলেন। ছবির ভাবনা কোনোদিন তাকে ছেড়ে যায়নি। জীবনে অজস্র পুরস্কার পেয়েছেন। ১৯৯০ সালে ভারত সরকার থেকে পেয়েছেন ‘পদ্মশ্রী’ সম্মান। অসংখ্যবার এসেছে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। কিন্তু তরুণ মজুমদারের সেরা পুরস্কার অগুণতি বাঙালির অফুরন্ত ভালোবাসা। তবে লাইমলাইট থেকে দূরে থাকতেই পছন্দ করেন তিনি।
১৯৩১ সালের ৮ জানুয়ারি বাংলাদেশের বগুড়ায় জন্ম তরুণ মজুমদারের। তার বাবা বীরেন্দ্রনাথ মজুমদার ছিলেন স্বাধীনতা সংগ্রামী। ১৯৫৯ সালে তরুণ মজুমদার আসেন সিনেমার জগতে। টানা ৬০ বছরেরও বেশি সময় ধরে কাজ করেছেন তিনি। শেষ ছবি বানিয়েছেন ২০১৮ সালে।