টেক বার্তা

ই-সিম কার্ড কি? এর সুবিধা ও অসুবিধা , কিভাবে ব্যাবহার করবেন

এটি ফোনের মাদারবোর্ড এর মধ্যে থাকে। এই সিমটি ব্যাবহার করা যায় যেখানে আইফোন ও গুগল পিক্সেল ফোন এ ব্যাবহার করা যায়। এই সিমটি চালু করতে আপনাকে প্রথমে সার্ভিস প্রভাইডার এর কাছে যেতে হবে যেমন- এয়ারটেল, জিও বা গ্ৰামীন ফোন এর কাছে গেলেন তখন আপনার সিমটি চালু করে দেবে। এছাড়াও ঘরে বসে রেসিস্টার ইমেইল দিয়ে কাজটি করতে পারবেন।

এরজন্য আপনাকে ১২১ এ কল করতে হবে। এরপর আপনার ইমেইলে QR Code পাঠিয়ে দেবে সেটা Scan করলে ই-সিম চালু হয়ে যাবে।

ব্যবহারের সুবিধা হল- আপনাকে সার্ভিস প্রভাইডার এর কাছে যেতে হবে না এবং আপনার মোবাইল ফোন এ জায়গা বেঁচে যাবে এবং মোবাইলটি ওয়াটার প্রুফ হবে। এছাড়াও সিম হারিয়ে যাবে না খারাপ হবে না।

আর অসুবিধা হল- আপনার ফোনটি ইচ্ছামত বদলাতে পারবেন না। তাই ধরুন আপনার ফোনের ব্যাটারি শেষ হয়ে গেছে এবার আপনার বন্ধুর ফোনে কথা বলবেন সেই সুবিধা পাবেন না।

এছাড়াও আপনি যদি নতুন একটি মোবাইল ফোন কিনেন তাহলে আপনাকে নতুন করে ই-সিম কার্ড আ্যক্টিভ করতে হবে।

 উপরন্তু, eSIM একটি প্রথাগত সিম কার্ডের মতো একইভাবে কাজ করে, তবে এটি ব্যবহার করার জন্য আপনার কোনো ফিজিক্যাল সিম কার্ডের প্রয়োজন নেই।  এটি আসলে ডিভাইসে আগে থেকে ইনস্টল করা থাকে এবং আপনি একটি নতুন অপারেটরের “eSIM প্রোফাইল” ইনস্টল করে এটি সক্রিয় করতে পারেন।

 আসলে, এটি শারীরিক সিম কার্ডের একটি বিবর্তন।  আরও বেশি বেশি স্মার্টফোন, ট্যাবলেট এবং ল্যাপটপ একটি eSIM কার্ড দিয়ে সজ্জিত থাকে।

 যেমন: iPhone 13 Pro Max, iPhone 13 Pro, iPhone 13 mini, iPhone 13, iPhone 12 Pro Max, iPhone 12 Pro, iPhone 12 mini, iPhone 12, iPhone 11 Pro Max, iPhone 11 Pro, iPhone 11, iPhone XS,  iPhone XS Max, iPhone XR, iPhone SE 2 (2020), iPad Pro 11″ (1st Gen বা তার পরে), iPad Pro 12.9″ (3rd Gen বা তার পরে), iPad Air (3rd Gen বা তার পরে), iPad (7th Gen)  পরে), iPad মিনি (5ম প্রজন্ম বা তার পরে), Z Fold 3 5G, Z Flip 3 5G Fold, Z Flip 3 5G, Sharp AQUOS sense4 lite, Sony Xperia 10 III Lite, Surface Duo, Gemini PDA, the Microsoft Surface Pro ইত্যাদি।

কিভাবে eSIM কাজ করে?

একটি eSIM-সামঞ্জস্যপূর্ণ ডিভাইসের সাহায্যে, আপনি সহজেই একটি eSIM প্রোফাইল (অপারেটর/ক্যারিয়ার দ্বারা সরবরাহ করা) ইনস্টল করতে পারেন যাতে আপনার যখন প্রয়োজন হয় তখন একটি eSIM ডেটা প্ল্যান কিনতে পারেন।

এছাড়াও আপনি একাধিক অপারেটর ব্যবহার করতে পারেন এবং আপনার প্রয়োজন অনুসারে একই সাথে একাধিক ডেটা প্ল্যান সাবস্ক্রাইব করতে পারেন: ভ্রমণ করার সময়, বাড়ি থেকে বা দূর থেকে কাজ করার সময় ইত্যাদি।

উদাহরণস্বরূপ: Ubigi-এর মাধ্যমে, আপনি 180টি গন্তব্যে আপনার স্বাভাবিক ক্যারিয়ারের তুলনায় রোমিং খরচ 90% পর্যন্ত বাঁচাতে পারেন।  আমরা খারাপ মানের বা অনিরাপদ Wi-Fi-এর বিকল্প হিসাবে এক-বন্ধ এবং পুনরাবৃত্ত ডেটা প্ল্যান অফার করি।

 eSIM কে কখনও কখনও এর প্রযুক্তিগত নাম, eUICC (এমবেডেড ইউনিভার্সাল সার্কিট কার্ড) বা ভার্চুয়াল সিম দ্বারা ডাকা হয়।

জেনে রাখা ভালো: ইন্টারনেট অফ থিংস (IoT) এ eSIM একটি প্রধান ভূমিকা পালন করে কারণ প্রযুক্তিটি ইতিমধ্যেই গাড়ি, পরিধানযোগ্য, হোম অ্যাপ্লায়েন্স, শিল্প মেশিনে সংযুক্ত করা হয়েছে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker