ভোলার কুখ্যাত ডাকাত সর্দার অবশেষে জেলহাজতে।
স্টাফ রিপোর্টারঃ-বহুদিন ধরা ছোঁয়ার বাইরে থাকা ভোলা-লক্ষ্মীপুর, চরফ্যাশন হিজলা, মেহেন্দিগঞ্জ, ভৈরব ও রায়পুরের ভয়ঙ্কর জলদস্যু বা ভূমিদস্যু আলতু বাহিনীর প্রধান আলতু ডাকাত, ওহাব বাহিনীর প্রধান ওহাব ডাকাত, হারেস বাহিনীর প্রধান হারেস ডাকাত, ও শাহজালাল বাহিনীর প্রধান শাহজালাল ডাকাতসহ এদের প্রধান সমন্বয়কারী মোঃ সাদ্দাম অবশেষে ধরা পড়লো। আদালত সূত্রে জানা যায়, জাহানারা বেগম বাদী হয়ে ৫১ জনকে আসামি করে ২০২১সালে দন্ডবিধির ৩৭৯, ৩৮০, ৪৪৭, ১১৪/৩৪ ধারায় ভোলা সদর চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নং সিআর ২৭/২০২১। আদালত মামলাটি সিআইডিকে তদন্তের নির্দেশ দিলে সেটি দীর্ঘ এক বছর তদন্ত করে ৪৬ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়।
পরবর্তীতে আদালত ৪৬ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। এদিকে ধৃত এসব দস্যুরা মঙ্গলবার সকালে গোপনে আদালতে যামিন নিতে গেলে আদালত তাদেরকে আটকের নির্দেশ দেন। পরে তাদের কে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়। এদিকে ভোলার বিষফোঁড়া হিসেবে পরিচিত দস্যু আলতু-ওহাব এবং লক্ষীপুর-নোয়াখালী চরাঞ্চলের মুর্তিমান আতঙ্ক হারেস-শাহজালালসহ নতুন করে আর এক আতঙ্কের নাম, ওহাব ডাকাতের ছেলে ও এই অঞ্চলের বিভিন্ন বাহিনীর সমন্বয়কারী সাদ্দামকে একসাথে আটকের ফলে সাধারণ মানুষের মাঝে বিশেষ করে ভুক্তভোগী ও চরাঞ্চল বাসীর মাঝে এক উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে।
মামলার বাদী জাহানারা বেগম বলেন, এই দস্যুরা আমার বসত ভিটা থেইকা শুরু কইরা গবাদিপশু হাঁস-মুরগীসহ প্রায় তেইশ লক্ষ টাকার মালামাল লুটপাট করছে। তিনি, আদালতের সিদ্ধান্ততে এবং এসব দস্যুদের আটকে প্রাথমিকভাবে সন্তষ্ট প্রকাশ করেন। একই সাথে এসব ভয়ংকর ডাকাত আটকে তিনি আতঙ্কিত কিনা জানতে চাইলে, তিনি বলেন, আমার আর জীবনের ভয় কি আমার তো সবই নিছে, হুদা জীবনডাই আছে। নিয়া যাক, তিনি বলেন, আমার জীবনের বিনিময়ে হইলেও যদি এসব রাক্ষশরা শেষ হয়। তই দুনিয়া ডা ভালা থাকবো। ভোলা সদর কোর্ট পুলিশ পরিদর্শক রথীন্দ্রনাথ মজুমদার বলেন, আসামিদের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ থাকায় তাদেরকে জেলহাজতে প্রেরণের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।