কুষ্টিয়ার মিরপুরে ৫ বছরের শিশু কন্যাকে গলা কেটে হত্যা
কুষ্টিয়া প্রতিনিধি : কুষ্টিয়ার মিরপুরে জান্নাতুল ফেরদৌস নামের পাঁচ বছরের এক কন্যাশিশুর গলাকাটা লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
বুধবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার মশান শাহপাড়ার বাইপাস ক্যানেল থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
পারিবারিক বিরোধের জেরে শিশুটিকে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় নিহতের ফুপু জহুরা খাতুন (৩০) ও ফুপা আনিরুল ইসলাম (৩৭) কে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ।
জান্নাতুল ফেরদৌস মিরপুর উপজেলার মশান শাহপাড়া এলাকার জাহিদুল ইসলামের মেয়ে। জাহিদুল কুষ্টিয়া সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিসে চাকরি করেন।
স্থানীয়রা জানান, বুধবার বিকালে নিজ বাড়ি থেকে শিশু জান্নাতুল ফেরদৌস নিখোঁজ হয়। অনেক খোঁজাখুঁজির পর রাত সাড়ে ৯টার দিকে মশান শাহপাড়ার বাইপাস ক্যানেল থেকে তার গলাকাটা লাশ উদ্ধার করা হয়।
এলাকাবাসী সুত্রে জানা যায়, মশান শাহপাড়া এলাকার মরহুম শহীদুল্লাহ শাহর দুই ছেলে দুই মেয়ের মধ্যে বড় ছেলে জহিরুল ইসলাম ঢাকায় এবং ছোটবোন জামিলা খাতুন কুমারখালীতে চাকরি করে। বাড়ীতে মায়ের সাথে স্ত্রী ও দুই শিশু কণ্যা নিয়ে বসবাস করে জাহিদ। সে কুষ্টিয়া সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিসে সহকারী ব্যবস্থাপক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তার আরেকটি বোন জহুরার বিয়ে হয় মিরপুরে। কিন্তু সেখানে শশুরবাড়ীতে বসবাস করতে না পেরে ফিরে এসে মশান ভুমিহীন এলাকায় তার স্বামী আনিরুল ইসলামকে সাথে নিয়ে বসবাস করে। তাদের ঘরে এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। মাঝে মাঝে জহুরা খাতুন জাহিদের স্ত্রী আখির সাথে ঝগড়ায় লিপ্ত থাকতো। তাই মনের ক্ষোভে জহুরা খাতুন তার ভাইয়ের শিশুকন্যাকে এমন ন্যাক্কারজনক হত্যাকান্ড ঘটিয়ে থাকতে পারে।
জান্নাতুল ফেরদৌসের মা আখি খাতুন জানান, আমার ননদ আমার মেয়েকে জবাই করে হত্যা করেছে।মেয়ের হত্যাকারীর ফাঁসি দাবী করে তিনি বলেন, আমার বুক খালি করেছে আপন আমার আপন ননদ। আমি তার দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি চাই।
মিরপুর থানার ওসি (তদন্ত) শুভ্র প্রকাশ দাস জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, পারিবারিক বিরোধের জের ধরে শিশুটিকে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহতের ফুপু ও ফুপাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। লাশের সুরতহাল করে ময়নাতদন্তের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।