পোড়াদহে সুমি প্রাইভেট ক্লিনিকে প্রতারিত হচ্ছে রোগী
স্টাফ রিপোর্টার : কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার পোড়াদহে রাতারাতি ব্যাঙের ছাতার মতো গড়ে উঠেছে সুমি প্রাইভেট ক্লিনিক নামের একটি ভুঁইফোঁড় ক্লিনিক ।এ ক্লিনিকটি চলছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কোনো প্রকার অনুমোদন ছাড়াই অবৈধভাবে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়,পোড়াদহের কাটদহে সুমি ক্লিনিক নামের একটি ক্লিনিক গড়ে উঠেছে। এ ক্লিনিকটির কর্তৃপক্ষ কোন প্রকার স্বাস্থ্য বিভাগের নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা করছে না। ক্লিনিকটির নেই কোনো জরুরি বিভাগ, নেই রোগ নির্ণয়ের মানসম্মত কোনো যন্ত্রপাতি বা ল্যাব টেকনোলজিস্ট। ধার করা পার্টটাইম কতিপয় ভুয়া ডাক্তার দিয়ে চলছে জটিল কঠিন অপারেশনসহ নানা রোগের চিকিৎসা।
নিয়মানুযায়ী সার্বক্ষনিক একজন এমবিবিএস ডাক্তার থাকার কথা থাকলেও ক্লিনিকটিতে কোন ডিপ্লমাধারী নার্স অথবা ওয়ার্ড বয়েরও দেখা মেলেনি।তাছাড়া ক্লিনিকটির সামনে নামিদামি ডাক্তারদের নাম সংবলিত চোখ ধাঁধানো দেয়াল লিখন থাকলেও নেই সেবার মূল্য তালিকা। ভেতরে অন্ধকার স্যাৎস্যাতে পুতি দূর্গন্ধময় পরিবেশে ১০-১৫ টি বেড পরিচালনা করছে ক্লিনিকটি। শুরু থেকে নাম স্বর্বস্ব এ প্রতিষ্ঠানটি উপজেলার বিভিন্ন অলিগলিতে ঢাকা,রাজশাহী,খুলনা মেডিকেল কলেজের বড় বড় ডিগ্রিধারী ডাক্তার বসার কথা বলে মাইকিং ও লিফলেট বিতরণ করে আসলেও মূলত তাদের বেশিরভাগই হচ্ছে ভূয়া। আর এসব দেখেই গ্রামের বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত সহজ-সরল-অসহায় মানুষ সুমি প্রাইভেট ক্লিনিক নামের এ ক্লিনিকটির পাতা ফাঁদে আটকে যাচ্ছে। নামিদামি ডাক্তারদের নাম ভাঙিয়ে প্রয়োজনে-অপ্রয়োজনে হাজার হাজার টাকার পরীক্ষা-নিরীক্ষা দিয়ে রোগীদের কাছ থেকে হাতিয়ে নেওয়া হচ্ছে মোটা অঙ্কের টাকা।
অভিযোগ রয়েছে প্রতিষ্ঠানটির খোদ ম্যানেজারই রোগীদের স্পর্শ কাতর রোগের ব্যাবস্থাপত্র দিচ্ছেন।জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে কোনো ধরনের মনিটরিং কিংবা জবাবদিহিতা না থাকায় এ ক্লিনিকটির কর্তৃপক্ষের দৌরাত্ম্য দিন দিন বেড়েই চলছে। এসব ব্যাপারে জানতে চাইলে প্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্ট কেউই কথা বলতে চাননি এ প্রতিবেদকের সাথে। এদিকে জেলা সিভিল সার্জন ডাঃএইচ এম আনোয়ারুল ইসলাম জানান, আমরা ইতি মধ্যে জেলার বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালিয়ে জেল জরিমানা সহ সিলগালা করা হয়েছে।এদের ব্যাপারে অভিযান অব্যাহত থাকবে।