শিক্ষা বার্তাশিক্ষাঙ্গন

রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে যথাযথ মর্যাদায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপন

আজ ১৭ মার্চ ২০২০ বৃহস্পতিবার হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি, স্বাধীন বাংলাদেশের মহান স্থপতি, মহান মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর ১০২তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে দিনব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী প্রশাসনিক ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে দিবসের শুভ সূচনা করা হয়। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর মহোদয়ের নেতৃত্বে শাহজাদপুর উপজেলা প্রাঙ্গণে স্থাপিত বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার জনাব মোঃ সোহরাব আলী, বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যান, শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শিক্ষার্থীবৃন্দ।

শ্রদ্ধাজ্ঞাপন শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবন ১-এ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। আলোচনা সভায় মুখ্য আলোচক হিসেবে আলোচনা করেন রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোঃ শাহ্ আজম। তিনি তাঁর বক্তব্যে বলেন, ১৯২০ সালের এইদিন টুঙ্গিপাড়ার মানুষ যে বিপুল আনন্দে অবগাহন করেছিলেন, সেই আনন্দ আজ উদযাপিত হচ্ছে বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্য দিয়ে যারা গণতন্ত্রকে গলা টিপে হত্যা করেছিল, তারা বহুদিন এদিনটিকে উদযাপন করতে দেয়নি। তিনি আরও বলেন, বাঙালি, বাংলাদেশ ও বাংলাদেশের স্বাধীনতা একসূত্রে গাঁথা।

মাননীয় ভাইস-চ্যান্সেলর মহোদয় বলেন, টুঙ্গিপাড়ার খোকা একদিন যেমন বঙ্গবন্ধু হয়ে উঠেছিলেন, তেমনি শীঘ্রই তিনি বিশ্ববন্ধু অভিধায় অভিহিত হবেন বলে আমি বিশ্বাস করি। এর কারণ, তিনি গণমানুষের জন্য সংগ্রাম করেছেন।

ভাইস-চ্যান্সেলর মহোদয় বলেন, শিশুদের প্রতি বঙ্গবন্ধুর অপার মমতা ছিল। রোকনুজ্জামান খান দাদাভাই প্রতিষ্ঠিত ‘কচি-কাঁচার মেলা’ ও কবি হাবিবুর রহমান প্রতিষ্ঠিত ‘খেলাঘর’ ছিল বঙ্গবন্ধুর প্রিয় সংগঠন। বঙ্গবন্ধু ১৯৭৪ খ্রিষ্টাব্দে শিশু অধিকার প্রতিষ্ঠায় আইন প্রণয়ন করেছিলেন। এর ১৫ বছর পর জাতিসংঘ শিশু অধিকার সনদ স্বাক্ষরিত হয়। বঙ্গবন্ধুর শিশুদের প্রতি এই মমত্ববোধের প্রকাশ দেখা যায় বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার ব্যক্তিত্বের প্রকাশে। আলোচনায় উপস্থিত সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে বক্তব্য শেষ করেন।

আলোচনা শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker